সুচিত্রা রায়:
আশুলিয়ায় নিজ বাড়ির কক্ষ থেকে আলেয়া বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের দাবী আলেয়ার দ্বিতীয় স্বামী তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে নিজে বাচার চেষ্টা করছে।
শুক্রবার (৩জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আশুলিয়ার দুকাঠি পালোয়ান পাড়া এলাকার টিনসেট বাড়ির কক্ষ থেকে গৃহবধূ আলেয়া বেগমের মরদেহ উদ্ধারের পর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
নিহত আলেয়া বেগম (৩২) ঢাকা জেলা আশুলিয়া থানা দুকাঠি পালোয়ান পাড়ার মৃত মইজ উদ্দিনের মেয়ে। আলেয়ার প্রথম স্বামী দুই সন্তান রেখে মারা যাওয়ার পর সে সাইফুল (৪৫) কে দ্বিতীয় বিয়ে করে বাপের বাড়ি নিজের জমিতে ঘর করে বসবাস করে আসছিল। সাইফুলের সংসারেও তিন সন্তান রয়েছে।
তবে তাসলিমা,বুলবুলি আক্তার মনি ও শিলা নামের আরো তিন স্ত্রী রয়েছে সাইফুলের।
সাইফুল ঢাকা জেলা আশুলিয়া থানা কাঠগড়া গ্রামের মৃত আনোয়ারের ছেলে।
সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক মাস যাবত জমি বিক্রি করে অথবা সমিতি থেকে লোন নিয়ে টাকা দেওয়ার জন্য আলেয়াকে বলেন সাইফুল। এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। শুক্রবার সকালেও সাইফুল টাকার জন্য আলেয়ার বাড়িতে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর সকাল ১০টার দিকে স্বজনরা শোনেন আলেয়া গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আলেয়া বেগমের বড় ছেলে হানিফ (১৪) বলে, আমার সত বাবা সকালে আমাদের বাড়িতে এসে আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমি বাহিরে চলে গেলে কিছুক্ষণ পর শুনি আমার মা মারা গেছে। আমাদের ঘরে তিনদিন ধরে চাউল নেই। উনি (সাইফুল) বাজার করে দেয় না, শুধু মার কাছে টাকা চায়।
সাউফুল বলেন, আমার চার স্ত্রী। দুজন আমার নিজের বাড়িতে থাকে, আলেয়া আলেয়ার বাড়িতে থাকে আর একজন অন্যখানে। আমি সকালে এই বাড়িতে আসলে আলেয়া আমার কাছে ওষুধ কেনার জন্য ২০টাকা চায়। টাকা না দেওয়াতে সে ঘরে ঢুকে রুমের দরজা আটকিয়ে রশি দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। এসময় আমি ঘরের কার্নিশ দিয়ে রুমে ঢুকে ফাস খুলে নিচে নামিয়ে দেখি তার মৃত্যু হয়েছে।
এব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসলাম বলেন, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছি। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে বলা যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা। আপাতত কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি।
Leave a Reply